শেষ বিকেলে প্রাণের বইমেলায়
লিখেছেন লিখেছেন আওণ রাহ'বার ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৮:৪০:২৩ সকাল
বইমেলাটা আসবে বুঝি ফালগুনে,
আর কতকাল থাকব বসে কালগুনে?
-- আল মাহমুদ
বই মেলা আসলো আবার এখন যাই যাই।
বই মেলার ইতিহাস নিয়ে প্রিয় ব্লগার নোমান সাইফুল্লাহ ভাইয়ার একটি পোষ্ট।
অমর একুশে গ্রন্থমেলাঃ বাঙালীর প্রাণের আওয়াজ
টুডে ব্লগার দের বই এর লিষ্ট এ লিংক থেকে মোটামুটি পাবেন।
প্রকাশিত হলো টুডে ব্লগারদের একগুচ্ছ বই (আপডেট)
এবার আমার বই মেলার অভিজ্ঞতাঃ
১৬ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টার কিছু বেশি, পেট চো চো পেটে কিছু পড়েনি। এক ভাইয়ার কাছ থেকে নিলাম হাজার টাকা।
বের হলাম ক্ষুধার্ত পেটে মেলার দিকে। হাটছি, পথে দোকান আর কি বসে থাকা যায়? নুডলস আর ডি-আ চপ খেয়ে দে ছুট দে ছুট। ডি-আ চপ মানে ডিম আলু মিক্সিং করে চপটা তৈরি করা। অনেক দোকানে আস্ত একটা ডিম দিয়ে, কোথাও ছয় ভাগের এক ভাগ, কোথাও বা চার ভাগের এক ভাগ সেদ্ধ ডিম আলু ভর্তার সাথে বেসন দিয়ে এ চপটা বানায়। আমি যেটা সাবার করলাম সেটায় ডিমের পরিমান ছয় ভাগের এক ভাগই ছিলো।
বাসে চড়ে শাহবাগ নেমে পাবলিক লাইব্রেরী এর সামনে কিছু বই দেখলাম, আসর এর নামাজের সময় হলো, থানা মসজিদের সামনে আমি। একজন পুলিশ অফিসার দাড়ানো রাস্তার মাঝে!ঠিক তখনই একটা পিকআপ আসলো, অফিসার সিগন্যাল দিয়ে পিকআপ থামিয়ে ড্রাইভারের সাথে বসে গাড়ি নিয়ে দৌড়।থানার সামনে থেকে প্রচুর পুলিশ বের হচ্ছে। নামাজ পড়ে বই মেলার দিকে যাই আর কি তর সয়?!
রাস্তার পাশে কিছু মিনি বইয়ের দোকান দেখা যাচ্ছে আমিও মজায় মজায় ইচ্ছেমত হাতাচ্ছি কেনার তো কোন নাম গন্ধও নেই। এভাবেই চলছি আর ক্ষণ গুনছি. .বাংলা একাডেমী গেটের সামনে প্রচুর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা এর জন্য উদ্যোক্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।ঢুকতে গিয়েই বিপত্তি! সাথে ছিলো ব্যাগ এমনিতেই হুজুর মানুষ! তার উপর ব্যাগ!!পুলিশ ব্যাগ চেক করতে চাইলো। দিলাম খুলে! একটা গিফট আইটেম ছিলো কস্টেপে লাগানো, সেটা চেক করতে গিয়ে দু এক টুকরা ফেলে দিলো! তাড়াতাড়ি করে দুজনেই উঠালাম।পুলিশ খুব মোলায়েম কন্ঠে সরি বললেন গিফট পরে যাওয়া ভুলের জন্য।আমি তো হতবাক! আমি কোন দেশে!!? আলতো করে পুলিশটার চেহারা দেখতেই চোখাচোখি হলো! তখনই কেটে পড়লাম সে যায়গা থেকে। যাক বাব্বাহ বাচা গেলো!! মনে মনে পুলিশ ভাইটার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানালাম। এখন প্রান ভরে নিঃশ্বাষ নেই , এ রাজত্ব যেনো আমার।
প্রথমেই মুক্তধারা স্টলে যেয়ে " মংপুতে রবীন্দ্রনাথ "- মৈত্রেয়ী দেবী লিখিত বইটি কিনলাম। দাম না জানার কারনে দুটাকা বেশিই নিলো ।ছানা-পোনাদের স্টল ঘুড়লাম আর বই হাতালাম। বইমেলাতো শুধু বই বিক্রির জন্যই নয়! বই কেনা,বই দেখা এবং বই প্রদর্শনীর ও মেলা বটে।দেখতে দেখতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর স্টল এ আসলাম
এবং বোখারি শরীফ কিনার জন্য মনস্থির করলাম। সংগত কারনে আর কেনা হলোনা।বের হলাম একাডেমি থেকে।
সোহরাওয়ার্দীর সামনে বিভিন্ন রঙের প্রচুর দোকান।তিন,পাঁচ,সাত রঙের চা সহ বিভিন্ন খাবারের দোকান।
দেখতে দেখতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা প্রাঙ্গণের গেট দিয়ে প্রবেশ করে প্রান ভরে বইয়ের গন্ধ শুকতে রইলাম। নতুন বইয়ের গন্ধে বিভোর আমি। যেনো নতুন দিগন্তের আকাশে স্বাধীন পাখি ।যারা মেলায় যাবেন তারা মেলার ম্যাপটা দেখে নিতে পারেন এটা একটা বড় রকমের সুবিধা।সাথে একটা ব্যাগ নিলে আরো সুবিধা কারন বই কিনে রাখতে পারবেন। পকেট সবসময়ই সাবধান।
এবার বই সংগ্রহের মিশন। আদর্শ স্টল থেকে দুটো বই নিলাম রোকন রাইয়ানেরঃ
১, বন্ধু পরিবহন ২, বই পোকাদের দল
রোকন রাইয়ান ভাই সেখানেই ছিলেন।হয়ে গেলো অটোগ্রাফ সেশন।সত্যিই লেখকরা যখন অটোগ্রাফ দেন তাদের চেহারার প্রশান্তি আর উজ্জ্বলতা প্রচন্ড আকর্ষন করে আমাকে। এ প্রশান্তি কোন উদাহরণ এ আমি বুঝাতে পারবো না।মাগরীব এর নামাযের সময় হয়ে আসলো। উদ্যানের ভিতরে অজু এবং নামাযের ব্যাবস্থা আছে।প্রথম জামাতে সম্পূর্ণ নামাজ ঘড় ভরে গেলো,দ্বীতিয় জামাতে শেষ কাতার পর্যন্ত মুসল্লি তাড়পর তৃতীয় জামাতের অপেক্ষায় মুসল্লিরা দাড়ানো।রোকন ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে।
আবার বই স্টলে ঢু, পার্ল সেবাতে ভীড় লেগেই আছে,ভীড়ের মধ্যে বই দেখাও অন্য রকম অনুভূতি। এভাবে বই দেখছি একের পর এক স্টল, পছন্দ মতো কিনছিও।একটা বিষয় খুব ভালো লাগলো সেটা হলো স্টলের মধ্যেই আপুরা সুযোগ করে মাগরীব এর নামাজ আদায় করছেন আলহামদুলিল্লাহ।
হঠাৎ পেয়ে গেলাম মদীনা আর সফিউদ্দিন সরদার।নিলাম সেখান থেকে কিছু বই।সময় চলছে তার গতিতে আর সুখের মুহুর্ত খুব দ্রুত শেষ হয়। ঘড়িতে চোখ গেলে দেখলাম এশার সময় হয়ে গেলো।নামাজের জন্য আসতেই দেখি শাহবাগ থানা মসজিদে জামাত শেষ । ভারাক্রান্ত মনে পিজি হাসপাতাল মসজিদে গেলাম সেখানেও জামাত শেষ! বসে রইলাম কিছুক্ষণ! একভাইকে পেয়ে দুজনে মিলে জামাতে নামাজ শুরু করলাম। নামাজ শেষে দেখি প্রায় ৭/৮ জন একসাথে। সত্যিই বান্দা যদি তার সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করে তো মহান রব্ব তাকে সাহায্য করেনই। মেলা থেকে ৮টি বই কিনেছিলাম।সেদিনের মতো শেষ হলো আমার বইমেলা।
আরেকটি কথা আমি আমার সহ ব্লগারদের বই আমার সংগ্রহে রাখতে খুব ভালোবাসি। আর আমার বই কিনতে প্রচুর ভালো লাগে।
আমার সংগ্রহে ব্লগারদের বইঃ
আফরোজা হাসান আপুর লিখা
১, আপনার সন্তান আপনার ভবিষ্যত
রেহনুমা বিনত আনিস আপুর লিখা
২, বিয়ে ৩, একগুচ্ছ গোলাপ ৪, নানান রঙের মানুষ
ইসহাক খান ভাইয়ার লিখা
৫, অটুট ইমান ৬, পিপড়ের উপদেশ ৭, জান্নাত ও জাহান্নাম ৮, পরকালের পথে যাত্রা
উম্মে রুমানা টুম্পা (ইকি) আপুর লিখা
৯, নৈশব্দের জলছবি
ইশরাত জাহান রুবাইয়া আপুর লিখা
১০, ভালোবাসার রঙধনু
আনোয়ার হোসেন মজুমদার ভাইয়ার লিখা
১১, বিয়ের ইন্টারভিউ
নূর আয়েশা সিদ্দিকা আপুর লিখা
১২, অবগুন্ঠিত আলাপন
নোমান সাইফুল্লাহ ভাইয়ার লিখা
১৩, অন্ধকারে অজস্র পাখি
বিষয়: বিবিধ
৩০৯৯ বার পঠিত, ৮৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ আমাদের অফিসে আলুর সিঙ্গারা আর কলিজার সিঙ্গারা দউইটারই দাম ৭ টাকা করে । পার্থক্য হল কলিজার সিঙ্গারা আলুর সিঙ্গারাই তবে তাতে সামান্য এক টুকরো কলিজা থাকে ।
০ মনে হয় আপনার গিফটটা খুব একটা মূল্যবান ছিল না পুলিশের কাছে ।
পুলিশ থেকে পালানোর ট্যান্ডেন্সী কি দলগত ?
''প্রথমেই মুক্তধারা স্টলে যেয়ে " মংপুতে রবীন্দ্রনাথ "- মৈত্রেয়ী দেবী লিখিত বইটি কিনলাম। ''
০ মুক্তধারা বেশ পুরনো প্রকাশনী । ছোট কালে এদের কিছু বই পড়েছিলাম ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্রলে '' বঙ্গবন্ধু ও ইসলাম '' বইটি পান নি ? বায়তুল মোকাররমে মাগরিবের নামাজ পড়তে গেলে শোকেছে অনেক গুলো বইয়ের মধ্যে এটি বেশ চোখে পড়তো ।
০ এখন হচ্ছে সেলফির যুগ । কেউ কি অটোগ্রাফ নেয় ?
০ বই মেলায় মেয়েরা যায় সাজুগুজু করে ।
ঐ অবস্থাতে কি নামাজ হয় ? এখানে যাওয়া মেয়েদের বেশীর ভাগ নামাজই পড়ে না , আর আপনার বর্ণনায় জানা গেল যে তারা স্টলের মধ্যেই নামাজ পড়েছে ! সেখানে কি পর পুরুষদের আনা গোনা ছিল না সবসময় ?
বেশী বেশী বলে ফেললেন
আমি গুলশান-১ এর আলমাস এর নিচে একটি হোটেল থেকে ১৫ টাকা পিস করে কিনতাম কলিজা সিঙ্গারা ওটাতে কলিজার পরিমান বলার মতই ছিলো।
গিফটা আসলেই অনেক সুন্দর ছিলো ওটা ছিলো বাৎসরিক ক্যালেন্ডার এর একটি কাঠের পিস।
পুলিশ নিজেই মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন।
বলেছিলেন আপনার গিফটটা খুব সুন্দরতো!
আমি কোন দলের না! কোন দলও আমার না।
আসলে ভাষাগত সমস্যা এটা আমার এখন এডিট করে কেটে পড়লাম দিয়েছি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর স্টলে সবসময় মহাযুদ্ধ থাকে বই নিয়ে। তাই ঐ বইটি দেখেনি।
তবে বঙ্গবন্ধুর একটি প্রসংশনীয় কাজ হলো এই ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠা।
সেলফি টেলফি আমার অপছন্দনীয়!!
বললাম তবে নামাজের ব্যাপারটা বেশী বলেনি সত্যিই বিষয়টা চোখ এড়ায়নি।
নামাজ কাজা না করে ওখানে সাধ্যের মধ্য থেকে নামাজ আদায় করছিলেন!
অবশ্যই তাদের এ বিষয়টা প্রশংসনীয়।
প্রশ্ন গুলোতে কিন্তু আমার নিজেরই ভালো হয়েছ
এবং প্রশ্নগুলোও গঠনমূলক।
আপনাকেও শুকরিয়া ছালছাবিল ভাইয়া।
আপনার বিবরন মনে করিয়ে দিল পূর্ব অভিজ্ঞতাগুলি। একবার এক ষ্টলের সেলসওম্যান আমার হাতে দুই বস্তা বই দেখে ফিট হয়ে গিয়েছিলেন!
আমি যখন ওরকম এরকম দু একটা বই কিনি তখন একটু আড়চোখে দেখে।
অনেকের ধারণা যে হুজুর হলেই কাশেম বিন আবু বকর এর ইটিশ পিটিশ বই পড়বে।
হা হা হা হা
সেই দিনতো আর নাই দিন এখন অনেক বদলিয়েছে।
আপনার বই এর কথা শুনে মনে হচ্ছে ইশ আপনার আশেপাশে যদি থাকতে পারতাম তবে কত বইনা পড়তে পারতাম।
পরে সেই সেলস ওমেনের কি হলো সেটাও জানতে মন চায়।
আর ভাইয়া একটা কথা অন-লাইনে কোন বই পড়া হলেও সেটা কেনার জন্য মন ছটফট করে।
পড়েছি তাও এমন হয়।
এবার সফিউদ্দীন সর্দার এর ৩টা বই কিনেছি।
মেলাতে দাম বেশীই সামনে আরো কিনবো ইনশাআল্লাহ।
পড়ে কমেন্টস করার জন্য অনেক শুকরিয়া।
খুব ভালো লাগা একটি লিখা ছিলো।
শফীউদ্দীন সরদার সাহেবের বই যেগুলো কিনেছি!
থার্ড পন্ডিত - শফীউদ্দীন সরদার
খোঁজ - শফীউদ্দীন সরদার
মুসাফির - শফীউদ্দীন সরদার
সামনে আরো কিছু বই কিনবো তার মূলত বারো ভূইয়া উপাখ্যানটা দ্রুত কিনবো মেলাতে দাম বেশি বাহিরে তুলনামূলক বইয়ের দাম কম।
শুকরিয়া।
গাছে কাঠাল আর গোফে তেল এই আর কি?!
ভাবি যদি থাকতো তবে নিজে থেকেই বই এনে দিতাম।
রকমারির সামনে বসিয়ে বলতাম অর্ডার করো যা যা বই লাগবে!
আর ডায়লগ দিতাম
বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়না তবে পকেট গড়ের মাঠ হয়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ অবলা তবলা ভাইয়া
অনুপ্রেরনার সাথী হওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইয়ে মানে ছবির ব্যাপারটা হলো দুটো ছবি তুলেই ক্ষান্ত দিয়েছি। সুন্দর হলোনা, আরেকটু ভালো হতো! ক্যাপচারটা এভাবে করলে আরো বেশী ভালো হতো টাইপের চিন্তায় প্রচুর সময় নষ্ট হয়। কাজের কাজ জলে যাবে তাই ছবির ব্যাপারটা বাদ দিয়েছিলাম।
তবে দুটো ছবি তোলা আছে।
সেদুটো বাড়িতে যেয়ে আপলোড করে দেবোক্ষণ।
হা হা হা আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিজের তোলা একটা ছবি দিলাম ভাইয়া।
শুকরিয়া ভাইয়া।
আপনি কেমুন আছেন খাম্মুনি?
বাড়ির সবাই ভালো আছেন তো?
মেলায় গিয়েছিলেন তো আমার বই কই?
আমার বই কিন্তু ঠিকঠাক চাই।
আপনার অনূভুতি প্রকাশের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া খাম্মুনি।
বারাকাল্লাহু ফীক।
তা কি কি বই কিনেছিলেন কেমন লেগেছিলো তাই নিয়ে আমার খাম্মুনির কাছে অবশ্যই একটি ব্লগ চাই।
চাই ইইইইইইই চাই
কাউকে বই উপহার দেয়া বরাবরই আমার ভীষণ আনন্দের একটি বিষয় আর সেটা যদি হয় আমার আওন্মনি তো খাম্মুনির খুশীর কোন পরিসীমা নেই। কি কি বই তোমার পছন্দ খাম্মুনিকে জানিও অবশ্যই ঠিকঠাক মতো পাবে ইনশাল্লাহ। বেশ কিছু বই কিনেছিলাম কিন্তু সেগুলির নাম এখন ঠিকমত মনে নেই। তাই ...।
ইশশশশশ বই পেলে আমারো খুব ভালো লাগবে
আর আচ্ছা বইয়ের লিষ্ট করিতো আগে
মা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন।
জাজাকাল্লাহ খাম্মুনি।
তিনি জবাব দিয়েছেন।
আপনার জন্য মাও দোয়া করেছেন।
লিষ্ট তৈরি সবেতো শুরু হারিকেনটা কই গেলোরে
হি হি হি হি হি
আমিন
এমন একটা বউ চাই
যারে দেখতে সুন্দর
এমন একটা বউ চাই
যার সাদা অন্তর
যার ঠোটেঁ সদাই হাসি
যার রঙিন দুটি আঁখি
চাই চাই এমন বউ চাই
বল এমন বউ কোথায় পাই
বিয়ের বয়স হয়েছে পাড়ার লোকে বলেছে
তবু আমি বিয়া করি নাই ।
হৃদয় আমার শূন্য, সেই মেয়েটির জন্য
যে আমাকে ভালবেসে সুখি হতে চায় ।
তবে কবিতা কিন্তু সুন্দর অইছে!
বাসে চড়লে আতংক আর আতংক!!! আল্লাহ এহেন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিক । আমিন।
ভাইয়া আমি আউটলুকিং হুজুর হলেও ভিতরে কিছু নাই । আমার টাইটেল দরবেশ, মুফতী সাপ ,বুযুর্গ ইত্যাদি ইত্যাদি ।
মাদ্রাসার বারান্দায় যাওয়ার তৌফিক হয়নি তবে ওলামায়ে কেরামের সংস্পর্শে থাকার তৌফিক আল্লাহ দিয়েছেন।
আলহামদুলিল্লাহ।
জাজাকাল্লাহ ভাইয়া পড়ে কমেন্টস করার জন্য।
খাম্মুনির জন্য ফুলটা।
কেমুন আতো হালিকেন বাবি?
কুতায় থিলে এতোদিন..
জাজাকাল্লাহু খাইরান ছোটমনি @আফরামনি।
তা ছোট ভাই ছিলেন কই? অনেক দিন না দেখে খারাপ লাগছে
ভবের নাস্তিক আছে কিছু! কিছু আছে ছুপা হিন্দু নামধারী নাস্তিক। কিছু আছে ডিজিটাল মুনাফিক।
তবে বাস্তবিক যারা সত্যিকারের নাস্তিক তাদের অনেকেই হেদায়াত পান !আল্লাহ অনেককেই হেদায়াত দিয়ে দেন।
হা নামাজের ব্যাপারটা আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে মেলাতে লোক হিসেবে নামাজী ভালো আলহামদুলিল্লাহ।
আপনার মেলার বিবরণ শুনে ভালো লাগলো।
আপনাকেও অনেক শুকরিয়া।
চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা!
হা ব্যাস্ত জীবন যাচ্ছে তবে ব্লগে চোখ বুলানো ঠিকই হয়। সময়ের কারনে খুব কমেন্টস করতে পারিনা আগের মত!
জাজাকাল্লাহ ভাইয়া । জাজাকাল্লাহ।
আমরাও এরকম মানুষরূপি অমানুষদের শাস্তি দাবি করছি!
আসলে এখানে শুধু মেলাকেই জড়ানো উচিৎ নয়।
যেখানেই গ্যাদারিং হয় যেকোন অনুষ্ঠানে বা দিবসে সেখানেই এরকম অসভ্যতা হয় এটা শতভাগ সত্য যদিও সবসময় পৃথক নিউজ আসেনা পত্রিকায়।
তাই যেমন আমাদের সতর্ক থাকতে হবে ঠিক তেমনি আমাদের মা বোনদের ও সতর্ক থাকতে হবে।
এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ার জন্য তাদের দোষও এড়িয়ে যাওয়ার মত নয়।
সবারই উচিৎ ইসলামের বিধিবিধান মোতাবেক অন্তত নিজেকে চালনা করা।
আমি সাধারণত এমন দিবসে বের হইনা।
এমন গ্যাদারিং খুব বিরক্তকর লাগে আমার জন্য।
বই মেলার অনুভূতি এবং প্রান্জল বিবরন চমৎকার লাগল!
নিউমার্কেটের ২ নাম্বার গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকলে একটি স্ন্যাকসের দোকান থেকে আলুচপ কিনে খেতাম! খুব্বি মজাদার ছিল!আস্ত ডিম থাকত ভিতরে!
শুভকামনা রইল!
আপনি কেমন আছেন আপু?
বাবুরা কেমন আছে?
নীলখেতের খিচুড়ি সেই লাগতো আমার কাছে।
আলহামদুলিল্লাহ।
মডু মামাদেরকে শুকরিয়া আমার পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য শুকরিয়া আপু প্রেরণার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
বই নিয়ে আপুর লিখা একটি পোষ্ট আমার অনেক ভালোলাগা ছিলো।
আরো দু একটা পোষ্ট বই নিয়ে লিখা চাই আপু।
"আল্লাহকে বান্দা আর কি বা দিতে পারে, দু ফোঁটা অশ্রু ছাড়া"
আল্লাহ দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
নীলখেতের খিচুড়ি আর তেহারির সুঘ্রান এখানে বসেই পাওয়া শুরু করেছি
বাহুত দিন কে বা'দ আপ তাশরিফ লায়াহে!কিয়া বাত!কুয়ী প্রবলেম?
সুয়া থা এতনা দিন তক???
কাহাফ ভাইকে কিন্তু আমি শব্দ নীড় এ ঠিকই খুজে পেয়েছি।
শব্দনীড় এ চিনেছি এক অনন্য কাহাফ ভাইকে।
জাজাকাল্লাহু খাইরান ইয়া আখি।
আনা ওহিব্বুকা।
জাযাকাল্লাহু খাইরাক জাযাই ফিদ্ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ....।
আমিন ইয়া রব্বুল কারীম।
কাটাবন মসজিদের পাশের একটা রোড নিউমার্কেটের দিকে গেছে। কিছু দূর গিয়ে হাতের ডানে একটা রেস্টুরেন্ট আছে,ওখানে পরোটা আর মুরগীর রেজালা...ওহ যা দারুন !
সে এক মজাদার কাহিনি শুধু ঝাল না বোম্বাই মরিচ দিয়ে!! এমন ঝাল দেয়া হয় কেউ দেখলেই চোখ দিয়ে পানি পড়বে।
দোকানদারো তেমন দেয় হা। কেউ একটু খেলেতো সেড়েছে [যারা ঝাল খেতে পারেনা]।
ইশশশশশশ নিউমার্কেট এর খিচুড়ি এর কথা বলেন সেটাতো ফাটাফাটি অন্য কিছুর চেয়ে খিচুড়ি সেই লাগে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ছোট ভাইয়ের ব্লগ বাড়িতে।
ইশশশশসসসস খাবো কখন?
জীহ্বা দিয়ে কমেন্টসটা পড়লাম
বইমেলার জন্য সারাবছর পয়সা জমাই। তবু বছরে এই একবারই আমার লোন করতে হয়। যতদিন পারা যায় মেলায় যাই।নিজের পয়সা শেষ হবার পর লোনের পয়সায়। আর বিয়ের পর তোমার ভাইয়ের পয়সায়!! এবং কোনদিনই আমার ফেরার ভাড়া ছিলনা!! প্রতিবারই সিএনজিওয়ালার কাছ থেকে টাকা নিয়ে রিকসা বিদায় করেছি আর সিএনজির ভাড়া বাসায় এসে দিয়েছি। কি করবো! বই দেখলে যে হুশ থাকেনা আমার!! নতুন বইয়ের গন্ধ নেশায় বুদ করে দেয়। এ নেশা যে বড় কঠিন নেশা..
বই খেকো বলবো না বই দস্যু বলবো?
আমার পকেট ঘড়ের মাঠ হয় ঠিক আছে তবে ভাড়াটাড়ার জন্য কিছু রাখি।
বাব্বাহ কি নেশারে ভাই আপনার।
আপু আপনার ভালো লাগা বইয়ের কিছু নাম নিয়ে একটা পোষ্ট অথবা অন্তত আপনার ভালো লাগা ১০-১২ টা বই এর নাম জানতে চায় জাতি!
আপনার কমেন্টসটি পেয়ে মনে হলো বইপোকা আরো কতো হতে পারে।
শুকরিয়া আপ্পি
আনুমানিক পাঁচ বছর পর একটা বই ["নবীজীর নামাজ - আল-কাউসার এর সাথে যারা আছেন তারা বের করেছেন এটা"] ব্লাকমেইল করে উদ্ধার করেছি।
বই দেয়ার সময় বলেছিলেন ভাই মাফ করবেন অলসতার জন্য। আমি বলেছিলাম অলসতা কয়বছর?!! বাব্বাহ তাওতো পেয়েছি আরো কত বই যে পাইনি । তাই আর কাউকে বই আর কলম দিবোনা আমি একদম কাউকে না।
আমার জীবনে আমি কোনদিন বানিজ্য মেলায় গিয়েছি বলে মনে পড়েনা। হি হি হি!!
গতকাল মারকাযুদদাওয়ায় গিয়েছিলাম আল-কাউসারের ভলিউম কিনতে ফিরে এসছি ভলিউম সহ আরো মোটামুট ২০টার মত বই শ!
বইয়ের তালিকা দিন সময় করে ঠিক আছে তবে সময়টা যেনো দ্রউত হয়। জাজাকাল্লাহ।
পোষ্টটির জন্য অনেক ভালো লাগা।
স্টিকির জন্য অভিনন্দন রইলো।
শুভ রাত্রি।
আমি ছোট ভাই দাওয়াত কবুল করলাম।
ইনশাআল্লাহ শুক্রবার মেলাতে আসার জন্য সবরকম চেষ্টা করবো।
ভাইয়া মাগরীব এর পর একটু থাকবেন আশা করি । কারন কাজ শেষ করে আসবোতো।
আর আগে আসতে পারলেতো দেখা হবেই। ইন..শা...আল্লাহ।
চিনে নেবো আপনাকে।
অভিনন্দন এর জন্য শুকরিয়া অনেক অনেক।
শুভসকাল
আর আপনার ব্লগার প্রীতিও ভাল্লাগ্লো বইপ্রীতির পাশাপাশি।
আমার প্রচন্ড ইচ্ছা ব্যাপক আকারে পাঠাগাড় করার, রব্বুল কারীম কবুল করেন।
আমিন
আমিও বইমেলার লিখাগুলো খুব মন দিয়ে পড়ি।
বুবুর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক থিংকু।
জাজাকাল্লাহ
পড়া এবং কমেন্টস করার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া ভাইয়া।
ভাইজান, মোবাইল থেকে মন্তব্য করতে গিয়ে সমস্যা হয়েছে।। উপরের মন্তব্যটি মুছে দিবেন। আর আপনাকে মনেমনে খুজছিলাম, তাই আপনার বাড়ীতে ঘুরাঘুরি করছি।কেমন আছেন,,
জ্বী ভাইয়া উপরের মন্তব্যটি মুইছে দিয়েছি।
আপনার কোন কাজে আমি আসতে পারলে ভালো লাগবে আমার।
জাজাকাল্লাহ কোন উপকার করতে পারি ভাইয়া আপনার?
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি?
আপনি কেমন আছেন? আমার মামাটা কেমন আছে?
খুব দোয়া রইলো মামাটার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন